বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘কোনো দেশপ্রেমিক দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ তারিখের পর আবির্ভূত হয়নি। যারা আবির্ভূত হয়েছিলেন, দায় ও দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয়, বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ওই মায়েরা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন না। বন্ধ করা হয়নি, চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনা নগরের ঐতিহাসিক শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন, গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে করাসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে আট দল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান সমাবেশে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে-কৌশলে কেউ কেউ আমরা শুনতে পাই, বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন—জনগণ ভোট দিক বা না দিক ক্ষমতায় তাঁদের যেতে হবে। বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না, ইনশা আল্লাহ।’
আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘একটা দেশকে সভ্য দেশ হতে হলে সেই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হয়। কিছু দল ও ব্যক্তি বাংলাদেশকে দফায় দফায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে বিশ্ব দরবারে অপমানিত করেছে। এদের সকলের অতীত রেকর্ড বাংলাদেশের জনগণের হাতে আছে। দুঃখের বিষয়, সকল ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি, বৈষম্য, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বিপ্লবের পরের দিন থেকে একটা গোষ্ঠী নিজেদের কপাল-কিসমত গড়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে সমাজজীবন অতিষ্ঠ-তটস্থ। ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী—কেউ শান্তিতে নেই। আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে বলে তারা সকলে বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলে। তারা বলে, আগেও ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ। কিন্তু কোনো ইসলামী দলের নামে চাঁদাবাজের তকমা জুড়ে দেওয়া যায়নি।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘কোনো দেশপ্রেমিক দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ তারিখের পর আবির্ভূত হয়নি। যারা আবির্ভূত হয়েছিলেন, দায় ও দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয়, বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ওই মায়েরা আমাদেরকে ক্ষমা করবেন না। বন্ধ করা হয়নি, চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনা নগরের ঐতিহাসিক শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন, গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে করাসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে আট দল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান সমাবেশে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে-কৌশলে কেউ কেউ আমরা শুনতে পাই, বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন—জনগণ ভোট দিক বা না দিক ক্ষমতায় তাঁদের যেতে হবে। বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না, ইনশা আল্লাহ।’
আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে মন্তব্য করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘একটা দেশকে সভ্য দেশ হতে হলে সেই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হয়। কিছু দল ও ব্যক্তি বাংলাদেশকে দফায় দফায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে বিশ্ব দরবারে অপমানিত করেছে। এদের সকলের অতীত রেকর্ড বাংলাদেশের জনগণের হাতে আছে। দুঃখের বিষয়, সকল ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি, বৈষম্য, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বিপ্লবের পরের দিন থেকে একটা গোষ্ঠী নিজেদের কপাল-কিসমত গড়ার জন্য বাংলাদেশের জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে সমাজজীবন অতিষ্ঠ-তটস্থ। ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী—কেউ শান্তিতে নেই। আগের চেয়ে চাঁদার রেট বেড়ে গেছে বলে তারা সকলে বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলে। তারা বলে, আগেও ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ। কিন্তু কোনো ইসলামী দলের নামে চাঁদাবাজের তকমা জুড়ে দেওয়া যায়নি।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত—এক ভাগ ’৭২ সালের বাকশালপন্থী, আর এক ভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থী শক্তি। রক্তের সাগর পেরিয়ে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের পর যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মাহাত্ম্যকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক।’ তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ থাকবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না, ইনশা আল্লাহ।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা—এই তিনটা স্লোগানের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু গত ৫৩ বছর যাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে, তারা তিনটা উদ্দেশ্যের একটাও কিঞ্চিৎ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা বারবার ধোঁকা দিয়ে চোরের দিক থেকে দুর্নীতির দিক থেকে বারবার ফার্স্ট বানিয়েছে। আমাদের সন্তানগুলো মায়ের কোলহারা করেছে, লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে তাদের সংসারকে বিরান করেছে, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে; বেগমপাড়া তৈরি করেছে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ব্যাপারে আপনারা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দেখেছেন, আপনাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এখন নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য আপনারা ষড়যন্ত্র করছেন। ভালো করে জেনে রাখেন, জনগণ আপনাদের পক্ষে মতামত, রায় দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই। এখন আপনারা গুন্ডামি, সেন্টার দখল, বিভিন্ন সন্ত্রাসীর মাধ্যমে আপনারা ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন—সেদিন ভুলে যান। এখন দেশের মানুষ সজাগ রয়েছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল ও মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।